কোনো বিশেষ আয়োজন বা উৎসব মানেই বিশেষ সাজ-পোশাক। আর এই সাজ যদি হয় শাড়িকেন্দ্রিক, সে ক্ষেত্রে শাড়ির ফ্যাশনে আভিজাত্যের প্রতীক সিল্ক শাড়ি। সিল্ক শাড়ির বিভিন্ন ধরনের একটি হলো তসর সিল্ক। দোয়েল সিল্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এম আলমগীর জানালেন, তসরের টেক্সচার বা গঠন মসৃণ নয়। একটু অমসৃণ এই ফেব্রিকে রয়েছে বনেদিয়ানার ছাপ। বাংলাদেশের আবহাওয়া ঠিক তসর উৎপাদনে উপযোগী নয়। অ্যান্ডি সিল্ককে একটু মোটা করে বুনে সেটাকেই তসর হিসেবে বাজারজাত করা হচ্ছে।
এখন বিভিন্ন নকশার ও বুনন বৈচিত্র্যের তসর বাজারে পাওয়া যায়। করপোরেট পার্টি বা জমকালো আয়োজনেও অভিজাত নারীরা সঙ্গী করছেন তসরকে। কখনো তসর বা কখনো তসর ঘরানার শাড়িতে বাড়তি কাজ যোগ করে তা আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস এখন একহারা রঙের ও গড়নের এই তসরে একটু একটু করে রং দিতে শুরু করলেও তার ব্যবহার হচ্ছে পরিমিত। তসরের রং মূলত কোড়া, বাদামি, ঘিয়ে হয়ে থাকে। তবে এখন ফ্যাশন হাউসগুলো অন্য কিছু রঙে রাঙাচ্ছে তসর শাড়ি। এতে রং বদলের সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্ট করে বাড়তি জৌলুশ আনা হচ্ছে শাড়িতে।
ফ্যাশন হাউস ড্রেসিডেলের প্রধান নির্বাহী মায়া রহমান বলেন, ‘তসরে চকচকে নয়, বরং সব সময়ই একটা ম্যাট ফিনিশড ব্যাপার চোখে পড়ে। তসরের বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখেই আমরা এতে ডাই করে রঙের ব্যবহার করেছি। তাই রঙের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ভাবটি রাখা হয়নি। কোথাও কোথাও খানিকটা হাতের কাজের ব্যবহারও করা হয়েছে।’ ড্রেসিডেলের তসর সম্ভারে রয়েছে বেগুনি, ধূসর, সবুজ, কালো প্রভৃতি রঙের ব্যবহার। আর মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে জ্যামিতিক নকশা। আঁচলে হাতের কাজ করা হয়েছে।
তসরের ব্যবহার করপোরেট পার্টিতে অনেক বেশি লক্ষণীয়। একটু বয়স্ক নারীরা যারা খুব ঝলমলে শাড়ি পরতে চান না, তাঁরা তসর শাড়ি পরতে পারেন। আর এই শাড়ির সঙ্গে সাজটাও হওয়া চাই মানানসই।
মায়া রহমানের মতে, গলায় পেন্ডেন্ট আর কানে টপ তসরের সঙ্গে বেশ মানানসই। মুক্তা বা পাথরের গয়নাও কিন্তু বেশ মানিয়ে যাবে তসরের সঙ্গে। চুলটাও বাঁধতে হবে বেশ পরিপাটি করে। আর মেকআপে থাকবে না বাহুল্য, বরং হালকা ফেস পাউডারের প্রলেপ আর চোখে কাজল বা আইলাইনারের ছোঁয়াই যথেষ্ট। লিপস্টিক তো নির্ভর করে ব্যক্তিত্ব ও বয়স অনুযায়ী। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে কোনো চকচকে নয়, বরং একটু ম্যাট লুকের ক্লাচ ব্যাগ এনে দেবে একবারেই করপোরেট লুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন